হেফাজতের ভাংচুর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়

২৮ মার্চ হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত সারাদেশে হরতাল চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মুক্তাগাছার সরকারি এ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে জরুরী রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে সকাল অনুমান ১০.৪০ ঘটিকার সময় সদর থানাধীন বেগুনবাড়ী মোড় সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তায় পৌছা মাত্রই শতাধিক হেফাজত নেতাকর্মীরা সরকারি এ্যম্বুলেন্স গাড়ীর গতিরোধ করে গ্লাসসহ গাড়িটি ভাংচুর করে।

এঘটনায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ১৩৩ তাং ৩১/৩/২১ ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮১৪৯/৩৪১/৪২৭/৩৫৩ দ :বি : রুজু হয়। মামলার এজাহারে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো:তুষার মিয়া (৩১) বাদী হয়ে মামলার এজাহারে ৯ (নয়) জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে বলা জানা যায়।

মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামি মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের আহমদ আলীর পুত্র মো:উজ্জ্বল (২৯) একজন হেফাজত নেতা। সে ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে স্হানীয় ভাবে ব্যপক জনশ্রুতি থাকলেও তাকে আটকের পর প্রতিমন্ত্রীর ফোনে ছেড়ে দেয়া হয় বলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে একই মামলার এজাহারে ৯নং আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা নাম মো:বোরহান উদ্দিন। সে গত ২০০৬সালে উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক, পরে ২০১৩ সালে মুক্তাগাছা উপজেলার ৫নং বাঁশাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির ৪নং সদস্য ছিলেন।

হেফসজতের নাশকতার মামলায় তাকে জড়িত করা হলেও তিনি ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্হলে উপস্থিত ছিলেন না বলে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা এ প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছেন বোরহানের পরিবার। তবে এব্যাপারে মামলার বাদী এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো:তুষার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মামলার বাদী তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবী করেন।